পটুয়াখালী প্রতিনিধি, মনজুর মোর্শেদ তুহিন
পটুয়াখালী ২৫০ সয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবনের প্রবেশ পথেই রয়েছে, মেডিকেল বর্জ্য ফেলার ডাস্টবিন। তবে নিরাপদ ব্যবস্থাপনার জন্য নেই কোন ডাম্পিং স্টেশন। হাসপাতাল ভবনের মাত্র ২০ ফুটের মধ্যে ডাস্টবিন হাওয়ায় প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধ ও রোগ জীবাণু ছাড়াচ্ছে এসব এলাকায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডাস্টবিন ভর্তি ময়লা তবে ডাস্টবিনের বাহিরেও যত্রতত্র পড়ে রয়েছে হাসপাতালের বর্জ্য। একই ডাস্টবিনে রয়েছে ইনজেকশন সিরিঞ্জ, সুই,স্যালাইন, ক্যনোলা,ব্যান্ডেজ গজ, ব্লাড ভর্তি ব্লাড ব্যগ, বিভিন্ন খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ,ডাবের খোসা, প্লাস্টিক বোতল পলিথিন সহ সব ধরনের আবর্জনা। ডাস্টবিনের চারদিকে লাখো লাখো মাছি। অন্তত দশটি গরু-বাছুর ডাস্টবিনের মধ্যে ঢুকে ময়লা গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে খাবার খাচ্ছে। ডাস্টবিনের পাশেই পথচারীদের হাঁটার রাস্তা এবং যানবাহন চলাচলের রাস্তায় ছড়িয়ে রয়েছে ময়লা গুলো। স্থানীয় এক বৃদ্ধ নারী ডাস্টবিন থেকে স্যালাইনের পাইপ ও প্লাস্টিক সিরিঞ্জ সংগ্রহ করছে। মনে হচ্ছে সরকারি হাসপাতালের ময়লা আবর্জনা দেখভাল করার যেন কেউ নেই।
পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, বড় একটি বালতিতে খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ সহ চিকিৎসা বজ্য একত্রে রাখা আছে। যা পরবর্তীতে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ডাস্টবিনে ফেলার জন্য প্রস্তুত করছে। নিয়ম অনুযায়ী প্লাস্টিক, ক্লিনিকাল বর্জ্য এবং খাদ্যের উচ্ছিষ্ট অংশ ভিন্ন ভিন্ন রাবিশ বিনে রাখা উচিত।
পথচারী খবির হাওলাদার বলেন, ময়লা আবর্জনা এভাবে ফেলায় আমাদের খুবই খারাপ লাগে এবং প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়ায়। এসব ময়লা আবার বিভিন্ন মাধ্যমে মাটি ও পানির সাথে মিশলে রোগ জীবাণু ছাড়াতে পারে। নাক মুখ না আটকিয়ে এখান থেকে হাঁটা সম্ভব না।
নার্সিং সুপারভাইজার আরতি রানী মন্ডল বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে সকল ধরনের ময়লা আবর্জনা পরিচ্ছন্ন কর্মীর মাধ্যমে ডাস্ট বিনে ফেলা হয়। সেখান থেকে পৌরসভার লোকজন তাদের সময় মত নিয়ে যায়।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডঃ দিলরুবা ইয়াসমিন বলেন, প্রতিদিন ৫০০ জনের অধিক রোগী আমাদের কাছ থেকে সেবা নেয়। প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে সকল ময়লা আবর্জনা আমাদের ডাস্টবিনে ডাম্পিং করি। সেখান থেকে পৌরসভার সিস্টেম তাদের গাড়ি এসে ময়লা আবর্জনা নিয়ে যায়।